#এসব পরিবহন সড়কদূর্ঘনা ও যানজটের মূল কারণ
#মাসোহারায় ম্যানেজ প্রশাসন
#যাত্রী ও পথচারীদের উদ্বেগ
মিছবাহ উদ্দিন:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও উপসড়কে দূর্ঘটনা ও যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। মূল কারণ অবৈধ টমটম, অটোরিকশা ও সিএনজি। এসব পরিবহন অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে চললেও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। নেপথ্যে রয়েছে মোটা অংকের মাসোহারা। এসব গাড়ি থেকে টোকেন বানিজ্যের মাধ্যমে মাসিক ও দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। রয়েছে নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠন। হাইকোর্ট থেকে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হলেও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ফলে দিন দিন বেপরোয়া হচ্ছে এসব পরিবহন।
উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছেন যাত্রী ও পথচারীরা। এদিকে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও রোগীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ট্রাফিক পুলিশ সড়কে দায়িত্ব পালন করলেও যানজট কমানোর কোন উদ্যোগ নেই তাদের। সড়কের উপরে বিভিন্ন গাড়ি পার্কিং, যাত্রী ওঠানামা, টিকেট কাউন্টার ইত্যাদি যানজটের মূল কারণ। কিন্তু দিনের পর দিন এসব দেখেও না দেখার ভান করছে সংশ্লিষ্টরা। ঈদগাঁও বাস-স্টেশনে দীর্ঘ যানজট এখন স্বাভাবিক বিষয়। দৈনিক দুই থেকে তিনবার দীর্ঘ যানজট লেগে থাকলেও দেখার কেউ নেই।
প্রতিটি টিকেট কাউন্টার, সিএনজি, টমটম, অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা ও মাইক্রো বাস থেকে মাসোহারা যাচ্ছে ট্রাফিক, হাইওয়ে ও থানা পুলিশের কাছে। ফলে কারো মাথা ব্যাথা নেই এসব বিষয়ে। এদিকে ঈদগাঁওতে বাজার রোডে টমটম ও অটোরিকশার দাপটে স্বাভাবিক চলাচল রীতিমতো ব্যহত হচ্ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকে। ঈদগাঁও বাজার পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্তরা বলছেন এসব ইউপি চেয়ারম্যানদের কাজ আবার তারা বলছেন বাজার কমিটির সমন্ময়হীনতা। ফলে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সব দিকে। সম্প্রতি ঈদগাঁও সাতঘড়িয়া পাড়া এলাকায় সিএনজি দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। তা ছাড়াও ছোটখাটো দুর্ঘটনা নিয়মিত হচ্ছে। কিন্তু এসব বিষয়ে উদ্যোগ না থাকায় বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলের মাঝে।
জসিম নামের একজন পথচারী জানান ঈদগাঁও বাস-স্টেশন থেকে চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন যানজটের কবলে পড়ে অতিরিক্ত সময় নষ্ট হচ্ছে।
কাপড় ব্যবসায়ী রবিউল হাসান জানান, সিএনজি, অটোরিকশা ও টমটমের অধিকাংশ ড্রাইভার অদক্ষ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় এসব পরিবহনে চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া এসব গাড়ির কারণে ঈদগাঁও বাজারে নিয়মিত যানজট লেগে থাকায় ক্রেতার উপস্তিতি কম হচ্ছে। ফলে ব্যবসা ভাল হচ্ছে না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ঈদগাঁও বাজার সড়কে নিয়মিত যানজট লেগে থাকায় বিভিন্ন রোগী ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশ বলছেন, ইজিবাইক বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে যে রায় হয়েছে সেটার অনুলিপি এখনো আমাদের কাছে না আসায় আমরা বাস্তবায়ন করতে পারছিনা। তবুও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া ঈদগাঁওতে এসব গাড়িগুলো রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শতভাগ কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন- হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে আমি অবগত নয়। তবে মহাসড়কে এসব গাড়ির বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে হাইওয়ে পুলিশ। বাজারের ভিতরে যানজট নিয়ে ঈদগাঁও থানার ওসির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।